পিরোজপুর প্রতিনিধি ॥ পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে মামা বাড়িতে বেড়াতে এসে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে এক কিশোরীকে (১৭) অপহরণের পর গণধর্ষণ করা হয়েছেন। ধর্ষকরা ওই কিশোরীকে ৩ দিন আটকে রেখে ধর্ষণ করে। সোমবার এ ঘটনায় (১৫জুন) রাতে ধর্ষিতা ওই কিশোরী বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। ভূক্তভোগী ওই কিশোরীর বাড়ি পার্শ্ববর্তী বাগেরহাট জেলার মোড়লগঞ্জ উপজেলার আমতলা গ্রামে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত জাহিদ শেখ (২৫) উপজেলার বালিপাড়া গ্রামের আবুল বাশার শেখের ছেলে ও তার বন্ধু স্থানীয় বালিপাড়া বাজারের হ্যামিও চিকিৎসক মো. মনিরুল ইসলাম একই এলাকার নুরুল ইসলাম শেখের ছেলে। তবে মনির শেখের দাদা বাড়ি বাগেরহাট জেলার মোড়লগঞ্জ উপজেলার হোগলাবুনিয়া গ্রামে। থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই কিশোরীর পরিবার ভারতের বেঙ্গালুরুতে ছিলো। গত প্রায় ১বছর আগে বাংলাদেশের নিজ গ্রামে ফিরে আসে। সেখান থেকে গত ১০/১১দিন আগে উপজেলার মধ্যবালিপাড়া গ্রামের মামা বাড়িতে বেড়াতে আসে। সেখান থেকে শুক্রবার (১২জুন) বিকালে মামা বাড়ির পাশের রাস্তা থেকে ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে জাহিদ শেখ তাকে বালিপাড়া বাজারে নিয়ে যায়। পরে কৌশলে তাকে কোমল পানীয়র সঙ্গে চেতনা নাশক ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে। সেখান থেকে তার বন্ধু স্থানীয় হ্যামিও চিকিৎসক মনিরুলের ইসলামের সহায়তায় মনিরুলের গ্রামের বাড়ি বাগেরহাটের মোড়লগঞ্জের হোগলাবুনিয়ার দাদা বাড়িতে নিয়ে আটকে রেখে ধর্ষণ করে।
এ সময় জাহিদের বন্ধু হ্যামিও চিকিৎসক মনিরুল ওই কিশোরীর কাছে থাকা মুঠোফোনে তা ধারন করেন এবং তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকী দিয়ে সেও ধর্ষণ করে। পরে রোববার (১৪জুন) বিকালে ওই কিশোরীকে ওই ঘরে ফেলে ধর্ষক জাহিদ শেখ চলে যায়। সেখান থেকে ওই কিশোরী মামা বাড়িতে ফেরার সময় স্থানীয় কয়েক তরুন ওই কিশোরীকে অপরিচিত দেখে তার সঙ্গে থাকা মুঠোফোন ছিনিয়ে নেয়। এসময় ওই মুঠোফোনে ধর্ষণের ভিডিও দেখলে তারা কিশোরীর মামা বাড়ির পরিবার ও ধর্ষকদের কাছে চাঁদা দাবি করে। এ প্রসঙ্গে থানা পুলিশের অফিসার ইন চার্জ (ওসি) মো. হাবিবুর রহমান বলেন, সোমবার (১৫জুন) বিষয়টি স্থানীয়ভাবে শুনে ভূক্তভোগী ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। ওই কিশোরী বাদি হয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ওই রাতে মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা পলাতক রয়েছে।
Leave a Reply